Header Ads

হামহাম জলপ্রপাত ভ্রমণ ২০১৯, Hum Hum waterfall tour 2019



হামহাম জলপ্রপাত


 ঘুরে আসুন হামহাম জলপ্রপাত থেকে 




Shylet




আয়নার মত স্বচ্ছ পানি পাহাড়ের শরীর বেঁয়ে আছড়ে পড়ছে বড় বড় পাথরের গায়ে। গুড়ি গুড়ি জলকনা আকাশের দিকে উড়ে গিয়ে তৈরি করছে কুয়াশার আভা। বুনোপাহাড়ের ১৫০ ফুট উপর হতে গড়িয়ে পড়া স্রোতধারা কলকল শব্দ করে এগিয়ে যাচ্ছে পাথরের পর পাথর কেটে সামনের দিকে তার গন্তব্যে। চারিপাশ গাছ গাছালি আর নাম না জানা হাজারো প্রজাতীর লাত পাতা লতা গুল্মে আচ্ছাদিত হয়ে আছে পাহাড়ী শরীর। স্রোতধারা সে লতাগুল্মকে ভেদ করে গড়িয়ে পড়ছে ভুমিতে।

সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার (রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্টের কুরমা বনবিট) গহীন অরণ্য ঘেরা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে নৈসর্গিক এই জলপ্রপাত। রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য হামহাম হতে পারে আদর্শ স্থান।

লোকালয় আর শহর থেকে দূরে, যাওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।



হাম হাম জলপ্রপাত
অবস্থান
জলপ্রপাত
মোট উচ্চতা
১৩৫ ফুট

হাম হাম  কিংবা হামহাম বা  চিতা ঝর্ণাবাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত বা ঝরণা। জলপ্রপাতটি ২০১০ খ্রিস্টাব্দের শেষাংশে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে দুর্গম জঙ্গলে ঘোরা একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন। দুর্গম গভীর জঙ্গলে এই ঝরণাটি ১৩৫, মতান্তরে ১৪৭ কিংবা ১৭০ ফুট উঁচু, যেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু ঝরণা হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের  উচ্চতা [১২ অক্টোবর ১৯৯৯-এর হিসাব অনুযায়ী] ১৬২ ফুট। তবে ঝরণার উচ্চতা বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠিত কিংবা পরীক্ষিত মত নেই। সবই পর্যটকদের অনুমান। তবে গবেষকরা মত প্রকাশ করেন যে, এর ব্যপ্তি, মাধবকুণ্ডের ব্যাপ্তির প্রায় তিনগুণ বড়।


কীভাবে যাবেন:--



ঢাকা থেকে সরাসরি সড়ক রেল পথে মৌলভীবাজার যাওয়া যায়। যারা আকাশ পথে মৌলভীবাজার যেতে চান তাদেরকে প্রথমে সিলেট গিয়ে তারপর সেখান থেকে সড়ক বা রেল পথে মৌলভীবাজার আসতে হবে। অন্যন্য রুটের চেয়ে রেলপথে ভ্রমণই সুবিধাজনক।

মৌলভীবাজার জেলা হতে বিভিন্ন জেলার দুরত্ব:

জেলার নাম
মৌলভীবাজার
দুরত্ব(কিঃমিঃ)
ঢাকা
২১০
সিলেট
৬৫
সুনামগঞ্জ
১২৬
হবিগঞ্জ
৬৫
বি-বাড়িয়া
১২৪
বরিশাল
৪৮৭
বগুড়া
৪৩৯
চট্টগ্রাম
৩৬৪
দিনাজপুর
৬২৪
ফরিদপুর
৩৫৫
যশোর
৪৮৪
খুলনা
৫৪৫
কুষ্টিয়া
৪৮৭
ময়মনসিংহ
৪০৩
পাবনা
৩৭১
রাজশাহী
৪৮০
রংপুর
৫৪৫
কুমিল্লা
১৯৭
নোয়াখালী
২৯২
রাঙামাটি
৪৪০


সড়কপথে :-
 

ঢাকার সায়েদাবাদ, কমলাপুর, কল্যাণপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দিনে-রাতে বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস এই রুটে চলাচল করে। এই রুটে এসি নন-এসি দুই ধরনের বাসই রয়েছে। এসি বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রীণ লাইন, আল-মোবারাকা সোহাগ, সৌদিয়া এস.আলম। আর নন-এসি বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, মামুন, ইউনিক পরিবহন।

বাসের সূচি :-


ঢাকা-মৌলভীবাজার :-



·         ঢাকা-মৌলভীবাজার রুটে সরাসরি চলাচলকারী পরিবহণে আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলোঃ

o    এসি বাসে - ৮০০ টাকা এবং
o    নন-এসি বাসে - ৩৫০ টাকা।

·         সরাসরি চলাচলকারী পরিবহণগুলোর তথ্য পেতে যোগাযোগ করতে হবেঃ

o    হানিফ এন্টারপ্রাইজ - মোবাইলঃ ০১৭১১-৯২২ ৪১৭;
o    শ্যামলী পরিবহন - মোবাইলঃ ০১৭১১-৯৯৬ ৯৬৫;
o    সিলেট এক্সপ্রেস - মোবাইলঃ ০১৭১৩-৮০৭ ০৬৯;
o    মৌলভীবাজার সিটি - মোবাইলঃ ০১৭১৬-২৯১ ১১২;
o    টিআর ট্রাভেলস - মোবাইলঃ ০১৭১২-৫১৬ ৩৭৮;
o    রূপসী বাংলা - মোবাইলঃ ০১৭১৩-৮০৭ ০৬৯;
o    তাজ পরিবহন - মোবাইলঃ ০১৭১৬-৩৮৭ ৯৩১।

পরিবহনের নাম
যোগাযোগ
ভাড়া
সোহাগ পরিবহন
৯৩৩১৬০০ (ফকিরাপুল)
৯১৩২৩৬০ (কমলাপুর)
৯১৩২৩৬০ (কল্যাণপুর)
৭১০০৪২২ (আরমবাগ)
,১০০/- (এক্সিকিউটিভ)
৯০০/- (রেগুলার)
আল-মোবারকা
ফোন: ৭৫৫৩৪৮৩, ০৪৪৭৭৮০৩৪২২
মোবাইল: ০১৭২০-৫৫৬১১৬,
০১৮১৯-১৮৩৬১১, ০১৭১৫-৮৮৭৫৬৬
৮০০/- (এসি)
৩৫০/- (নন-এসি)
গ্রীণ লাইন
৭১৯১৯০০ (ফকিরাপুল)
০১৭৩০-০৬০০৮০ (কল্যাণপুর)
,১০০/- (স্ক্যানিয়া)
৮৫০/- (ভলবো)
সৌদিয়া পরিবহন
০১৯১৯-৬৫৪৮৫৬ (সায়েদাবাদ )
০১৯১৯-৬৫৪৮৫৭ (সায়েদাবাদ )
০১৯১৯-৬৫৪৭৫২ (সায়েদাবাদ )
০১৯১৯-৬৫৪৮৫৮ (ফকিরাপুল)
,১০০/- (এসি)
৪৪০/- (নন-এসি)
হানিফ এন্টারপ্রাইজ
০১৭১৩-৪০২৬৬১ (কল্যাণপুর)
৪৫০/- (নন-এসি)
শ্যামলী পরিবহন
৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫ (কল্যাণপুর)
৪৫০/- (নন-এসি)
ইউনিক পরিবহন
৯০০৮৩২৬, ০১৮২১৪৯৮৮৩৩, ০১১৯৩০৯১১২০ (কল্যাণপুর)

৪৪০/- (নন-এসি)
মামুন পরিবহন
৭৫৪৫৩১৭, মোবাইল:০১৭১১-৩৩৭৮৫১, ০১৭১৮-৪৩৮৭৩২, ০১৯১২-০৬৪০৩২ (সায়েদাবাদ)
৩০০/- (নন-এসি)


রেলপথে :-


ঢাকা থেকে সরাসরি মৌলভীবাজারের সাথে রেল যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো মৌলভীবাজার হয়ে সিলেটে যায়। ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলো।


ট্রেনের সময়সূচি :--


ট্রেনেরনাম
ছাড়ে
পৌঁছে
বন্ধ
সময়
শ্রেনী
ভাড়া
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস
শ্রীমঙ্গল
ঢাকা
বৃহস্পতি
০৯:২১
এসি সীট
প্রথম সীট
প্রথম চেয়ার
শোভন চেয়ার
৩৪৫.০০
২০০.০০
২০০.০০
১৩৫.০০
পারাবতএক্সপ্রেস
শ্রীমঙ্গল
ঢাকা
মঙ্গল
১৬:৪৮
স্নি»v
প্রথম সীট
শোভন চেয়ার
৩৪৫.০০
২০০.০০
২০০.০০
উপবনএক্সপ্রেস
শ্রীমঙ্গল
ঢাকা
.........
০০:১২
এসি বার্থ
প্রথম বার্থ
প্রথম চেয়ার
শোভন চেয়ার
৫২৬.০০
৩২৫.০০
২০০.০০
১৩৫.০০
পাহাড়িকাএক্সপ্রেস
শ্রীমঙ্গল
চট্টগ্রাম
শনি
১২:৩৬
স্নি»v
প্রথম চেয়ার
শোভন চেয়ার
শোভন
৪২০.০০
২৫০.০০
১৬৫.০০
১৫০.০০
উদয়নএক্সপ্রেস
শ্রীমঙ্গল
চট্টগ্রাম
রবি
২৩:১১
স্নি»v
প্রথম বার্থ
শোভন চেয়ার
শোভন
৪২০.০০
৩৯৫.০০
১৬৫.০০
১৫০.০০
জয়ন্তিকাএক্সপ্রেস
ঢাকা
শ্রীমঙ্গল
.........
১৮:৪৪
এসি সীট
প্রথম সীট
প্রথম চেয়ার
শোভন চেয়ার
৩৪৫.০০
২০০.০০
২০০.০০
১৩৫.০০
পারাবাতএক্সপ্রেস
ঢাকা
শ্রীমঙ্গল
মঙ্গল
১০:৫২
স্নি»v
প্রথম সীট
শোভন চেয়ার
৩৪৫.০০
২০০.০০
২০০.০০
উপবনএক্সপ্রেস
ঢাকা
শ্রীমঙ্গল
বুধ
০২:৫০
এসি বার্থ
প্রথম বার্থ
প্রথম চেয়ার
শোভন চেয়ার
৫২৬.০০
৩২৫.০০
২০০.০০
১৩৫.০০
পাহাড়িকাএক্সপ্রেস
চট্টগ্রাম
শ্রীমঙ্গল
সোম
১৪:২৮
স্নি»v
প্রথম চেয়ার
শোভন চেয়ার
শোভন
৪২০.০০
২৫০.০০
১৬৫.০০
১৫০.০০
উদয়নএক্সপ্রেস
চট্টগ্রাম
শ্রীমঙ্গল
রবি
০৩:২৭
স্নি»v
প্রথম বার্থ
শোভন চেয়ার
শোভন
৪২০.০০
৩৯৫.০০
১৬৫.০০
১৫০.০০


যোগাযোগ

কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন
ফোন নম্বর: ৯৩৫৮৬৩৪,৮৩১৫৮৫৭, ৯৩৩১৮২২
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১৬৯১৬১২

বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন
ফোন নম্বর: ৮৯২৪২৩৯
ওয়েবসাইটwww.railway.gov.bd


বিমান পথে :-


ঢাকা থেকে সিলেটের সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে দিন ঢাকা- সিলেট সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচল করে।

ঢাকা সিলেট

ফ্লাইট
দিন
ছাড়ার সময়
পৌঁছানোর সময়
4H-0501
মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, রবি
১১.২০
১২.০০

সিলেট ঢাকা

ফ্লাইট
দিন
ছাড়ার সময়
পৌঁছানোর সময়
4H-0502
মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, রবি
১২.২০
১৩.০০

ভাড়া :-

গন্তব্য
ভাড়া শুরু
ওয়ানওয়ে
রিটার্ন
ঢাকা থেকে সিলেট
BDT 3000
BDT 6000

যোগাযোগ:

কর্পোরেট অফিস/উত্তরা অফিস
উত্তরা টাওয়ার (৬ষ্ঠ তলা)
জসীমুদ্দিন এভিনিউ, উত্তরা
ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ।
ফোন: ৮৯৩২৩৩৮, ৮৯৩১৭১২
ফ্যাক্স: ৮৯৫৫৯৫৯
ওয়েব: www.uabdl.com
ইমেইল: info@uabdl.com
ঢাকা এয়ারপোর্ট সেলস অফিস
ডমেস্টিক উইং কুর্মিটোলা
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ।
ফোন: ৮৯৫৭৬৪০, ৮৯৬৩১৯১।
মোবাইল: ০১৭১৩-৪৮৬৬৬০

বাস, ট্রেন বা বিমান যেভাবেই যান না কেনো প্রথমে আপনাকে মৌলভীবাজার অথবা শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে যেতে হবে কমলগঞ্জ। যারা জায়গায় যেতে ইচ্ছা পোষণ করবেন তাদের কমলগঞ্জ অথবা শ্রীমঙ্গল শহর হতে যানবাহন ভাড়া করতে হবে ভোর ছয়টার মধ্যে। তাহলে চাম্পারার চা বাগানে কলাবনপাড়ায় পৌঁছতে পারেন সাড়ে সাত বা আটটার মধ্যে। কলাবনপাড়া হতে হামহাম জলপ্রপাতে যেতে-আসতে প্রায় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। শ্রীমঙ্গল থেকে লাউয়াছড়া যাওয়ার জন্য সিএনজি জীপ রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ভানুগাছা বাসস্ট্যান্ড থেকে লাউয়াছড়া যাওয়ার লোকাল বাসও রয়েছে। লাউয়াছড়া বনের গাঁ ঘেঁষে আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথ, টিলা কাঠের গুড়ি দিয়ে বানানো সাঁকো দিয়ে ঘণ্টা খানেক হাঁটলেই আপনি পৌঁছে যাবেন কলাবানপাড়া। এছাড়াও কমলগঞ্জ পৌরসভার মোড় থেকে কলাবান পর্যন্ত দূর ২৪ কিলোমিটার। এই ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে কুড়মা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার পাকা রাস্তা এবং বাকিটা পথ কাঁচা। কলাবনপাড়ায় থেকে হাঁটার রাস্তা। প্রায় কিলোমিটারের মতো পাহাড়ি পথ শেষে হামহাম ঝর্ণার দেখা মিলবে।


থাকার ব্যবস্থা :-


শ্রীমঙ্গলে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। তবে হামহাম ঝর্না এলাকায় থাকার মতো তেমন ভালো ব্যবস্থা নেই। তবে নিজেকে যদি মানিয়ে নিতে পারেন তাহলে তৈলংবাড়ী কিংবা কলাবন আদিবাসী বস্তিতে আস্তানা গাড়তে পারেন। অথবা আদিবাসীদের ঘরেও থাকতে পারেন।

হোটেল আবাসনের তালিকা :--


ক্রমিক
নাম
পরিচালনাকারী/মালিকের নাম
হোটেল/মোটেল/রেস্তোরাঁ/রেস্ট হাউজ/গেস্ট হাউজ/ডাকবাংলো ইত্যাদির ঠিকানা
মোবাইল নং

হোটেল আবাসনের ধরণঃ বেসরকারী
এক্সারসন এন্ড রিসোর্টস বাংলাদেশ লিঃ
রাধানগর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।
০১৭৩০৭৯৩৫৫২৯
পরিচালক, ওয়েস্টার্ণ প্লাজা (আবাসিক)
ওয়েস্টার্ণ প্লাজা (আবাসিক), ২০৯ সেন্ট্রাল রোড, মৌলভীবাজার।
০১৭১১-৩৯৩৪৯৯
পরিচালক, রেস্ট ইন হোটেল (আবাসিক)
রেস্ট ইন হোটেল (আবাসিক), এস আর প্লাজা এম সাইফুর রহমান রোড, মৌলভীবাজার।
০১৭১৫-২৭৪৮৪৯
পরিচালক, নিসর্গ নীরব ইকো কটেজ
নিসর্গ নীরব ইকো কটেজ রাধানগর, শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার।
০১৭৬৬৫৫৭৭৮০
পরিচালক, হোটেল শাফী (আবাসিক)
পুরাতন হাসপাতাল রোড মৌলভীবাজার।
০১৭২২৬৩০৪৭৭
পরিচালক, হোটেল সন্ধ্যা (আবাসিক)
নতুনবাজার শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।
০১৭১১-৯৭৭০৭৬
পরিচালক, হোটেল সোনার বাংলা (আবাসিক)
সৈয়দ কুদরত উল্লা সড়ক, মৌলভীবাজার।
০১৭১২-৩২২৪৭১
পরিচালক, রাজা রেষ্ট হাউস (আবাসিক)
২৩৮ সেন্ট্রাল রোড মৌলভীবাজার।
০১৬৭০-৮০৮১৮২
পরিচালক, হোটেল আল রহমান (আবাসিক)
হবিগঞ্জ রোড শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার।
০১৬৮০-০৩৬৫৫৫
১০
পরিচালক, হোটেল নিদশোভা (আবাসিক)
সিলেট রোড, মৌলভীবাজার।
০১৭১৭-৭৩২৩৭০
১১
পরিচালক, হোটেল পাপড়িকা (আবাসিক)
সিলেট রোড মৌলভীবাজার
০১৭১৪-৬০৯৮৭৩
১২
পরিচালক, হোটেল মুন (আবাসিক)
নতুনবাজার শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার।
০১৭১২-৬৩৮৫৩৯
১৩
পরিচালক, নিসর্গ লিচুবাড়ী ইকো কটেজ
রাধানগর শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার
০১৭৬৬৫৫৭৭৮০
১৪
পরিচালক, হোটেল স্কাইপার্ক
ইয়াকুব শপিং সেন্টার চৌমুহনী শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার
০১৭১৩২৭০২১২
১৫
পরিচালক, টি ভিলা লাক্সারী রিসোর্ট
মাজদিহি, ভৈরবগঞ্জবাজার, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
০১৭১৬৮৩৩৬৩৩
১৬
পরিচালক, হার্মিটেজ (গেষ্ট হাউস)
রাধানগর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
০১৭১১-৫৯৫২৬৫
১৭
পরিচালক, বেঙ্গল ফুড এন্ড হাইওয়ে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট
শ্রীমঙ্গল রোড মৌলভীবাজার
০১৭১৫৬০০৪৪১
১৮
পরিচালক, সু্ইট ফুড বেঙ্গল ফুড
শ্রীমঙ্গল রোড, মৌলভীবাজার
০১৭১২৪৬৪৫২৫
১৯
পরিচালক, রাধিকা মোহন ষ্টল
সেনট্রাল রোড চৌমোহনা, মৌলভীবাজার
০১৭১২১৯৮৪১৯
২০
পরিচালক, সুমা ফুড
সিলেট রোড কুসুমবাগ, মৌলভীবাজার
০১৭৬৪৮৫১৫৮৬

নামের উৎপত্তি : -


ইতিহাস:-

পাহাড়ি আদিবাসীরা জানান, পাহাড়ী অধিবাসীরা বলেন, পানি পতনের স্থানে এক সময় পরীরা গোসল করত গোসল খানাকে আরবীতে হাম্মাম বলে জলের স্রোতধ্বনীকে ত্রিপুরার টিপরা ভাষায় হাম্মাম বলে তাই জলপ্রপাতটি হাম্মাম নামে পরিচিত। উপড়ে যে স্থান থেকে জল পড়ে সেখান থেকে ২শত ফুট পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা সীমানা।

হাম হাম ঝরণায় এপর্যন্ত (নভেম্বর ২০১১) গবেষকদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। সাধারণ পর্যটকেরা ঝরণাটির নামকরণ সম্পর্কে তাই বিভিন্ন অভিমত দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ ঝরণার সাথে গোসলের সম্পর্ক করে "হাম্মাম" (গোসলখানা) শব্দটি থেকে "হাম হাম" হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন। কেউ কেউ মনে করেনসিলেটি উপভাষায় "- -" বলে বোঝানো হয় পানির তীব্র শব্দ, আর ঝরণা যেহেতু সেরকমই শব্দ করে, তাই সেখান থেকেই শহুরে পর্যটকদের ভাষান্তরে তা "হাম হাম" হিসেবে প্রসিদ্ধি পায়। তবে স্থানীয়দের কাছে এটি "চিতা ঝর্ণা" হিসেবে পরিচিত, কেননা একসময় এজঙ্গলে নাকি চিতাবাঘ পাওয়া যেত।

বিবরণ ..


ঝরণার যৌবন হলো বর্ষাকাল। বর্ষাকালে প্রচন্ড ব্যাপ্তিতে জলধারা গড়িয়ে পড়ে। শীতে তা মিইয়ে মাত্র একটি ঝরণাধারায় এসে ঠেকে। ঝরণার ঝরে পড়া পানি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে ছড়া তৈরি করে বয়ে চলেছে। এরকমই বিভিন্ন ছোট-বড় ছড়া পেরিয়ে জঙ্গলের বন্ধুর পথ পেরিয়ে এই ঝরণার কাছে পৌঁছতে হয়। ঝরণাটির কাছে যাওয়ার জন্য এখনও (নভেম্বর ২০১১) সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ গৃহীত হয়নি, সাধারণত স্থানীয় অধিবাসীদের থেকে কাউকে গাইড বা পথপ্রদর্শক নির্ধারণ করে পর্যটকরা ঝরণা ভ্রমণ করেন। তাছাড়া ঝরণাকে ঘিরে তৈরি হয়নি কোনো সরকারি অবকাঠামোও। ঝরণায় যেতে হলে কুড়মা বন বিটের চম্পারায় চা বাগান হয়ে যেতে হয়। চম্পারায় চা-বাগান থেকে ঝরণার দূরত্ব প্রায় কিলোমিটার। পথে অত্যন্ত খাড়া মোকাম টিলা পাড়ি দিতে হয়  এবং অনেক ঝিরিপথ ছড়ার কাদামাটি দিয়ে পথ চলতে হয়। ঝিরিপথে কদাচিৎ চোরাবালুও তৈরি হয়, কিন্তু সেসকল স্থানে পর্যটকদের জন্য কোনো নির্দেশিকা দেখা যায় না। এছাড়া গভীর জঙ্গলে  বানরসাপমশা  এবং জোঁকের অত্যাচার সহ্য করে পথ চলতে হয়। বর্ষাকালে হাম হামে যাবার কিছু আগে পথে দেখা পাওয়া যায় আরেকটি অনুচ্চ ছোট ঝরণার। হাম হামের রয়েছে দুটো ধাপ, সর্বোচ্চ ধাপটি থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে মাঝখানের ধাপে, এবং সেখান থেকে আবার পানি পড়ছে নিচের অগভীর খাদে। ঝরণার নিকটবর্তি বাসিন্দারা আদিবাসী ত্রিপুরা

প্রকৃতি :-

Shylet

হাম হাম যাবার পথ এবং হাম হাম সংলগ্ন রাজকান্দি বনাঞ্চলে রয়েছে সারি সারি কলাগাছ, জারুল, চিকরাশি কদম গাছ। এর ফাঁকে ফাঁকে উড়তে থাকে রং-বেরঙের প্রজাপতি। ডুমুর গাছের শাখা আর বেত বাগানে দেখা মিলবে অসংখ্য চশমাপরা হনুমানের এছাড়াও রয়েছে ডলু, মুলি, মির্তিঙ্গা, কালি ইত্যাদি বিচিত্র নামের বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ।  

হামহাম যাওয়ার জন্য বনের ভেতর দুটি পথ আছে। বনের শুরুতেই হাতের ডানে বামে পাশাপাশি পথ দুটির অবস্থান। একটা দিয়ে যেতে হবে আরেকটা দিয়ে আসবেন। ডানের পথ দিয়ে ঢুকে বাম দিয়ে বের হবেন এটাই ভালো, কারন ডানের পথটা দীর্ঘ এবং অনেক গুলো উঁচু টিলা ডিংগাতে হয়, যা ফেরার পথে পরলে খুব কষ্ট হবে, তাই প্রথমে কষ্ট করেন আসার সময় একটু আরাম করে আসবেন, ফেরার পথ কম না তবে সমতল বেশি, টিলা কম ডিংগাতে হয়।

হামহাম যাবার জন্য সাথে একজন গাইড নিয়ে যাওয়া অত্যাবশ্যক। কারন প্রথমবার যারা যাবেন তাদের জন্য রাস্তা ভুল করাই স্বাভাবিক। এছাড়া ভ্রমণের সময় পাহাড়ি পথে হাটার সুবিধার্থে এবং আত্মরক্ষার্থে প্রত্যেকের সাথে একটি করে বাশ নেয়া আবশ্যক। এছাড়া জোকের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাথে করে লবণ সরিষার তেল নিয়ে নিলে ভালো হয়। 


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দন স্থানের মধ্যে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্টের কুরমা বনবিট একটি অরণ্যঘেরা গহিন দুর্গম পাহাড়। এর আয়তন হাজার ৯৭০ একর। কুরমা বনবিটের পাহাড়ের পশ্চিমদিকে চাম্পারায় চা বাগান, পূর্ব-দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত।
ঢাকা থেকে প্রায় ২৬০ কিমি. এবং কমলগঞ্জ উপজেলাসদর থেকে প্রায় ৩০কিমি. দক্ষিন-পূর্বদিকে অবস্থিত। কমলগঞ্জ থেকে প্রায় ১ঘন্টার পথ লোকাল বাস,জীপ,লাইটেস কিংবা পাইভেট কার নিয়ে চাম্পারায় চা বাগানে পৌছতে হবে। কুরমা চেকপোষ্ট পর্যন্ত পাকা সড়ক থাকলেও সেখান থেকে চাম্পারায় চা বাগান পর্যন্ত মাটির রাস্তা। সেখান থেকে আবার প্রায় কিমি. দূরে সীমান্ত এলাকায় ত্রিপুরা আদিবাসীদের পল্ল­ বন বিভাগের কুরমা বিটের অরণ্যঘেরা দুর্গম পাহাড়ী এলাকা তৈলংবাড়ী। অবশ্য সিএনজি নিয়ে সেখানে গেলে তৈলংবাড়ী পর্যন্ত অনায়াসে পৌছা যাবে। তৈলংবাড়ীর আদিবাসীদের সাহায্য নিয়ে আপনাকে  ট্রেকিং করতে নামতে হবে।
কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর শুরুতে আপনার দুচোখের সামনে ভেষে উঠবে পাহাড় থেকে ধোঁয়ার মতো ঘন কুয়াশা ভেসে উঠার অপূর্ব দৃশ্য। মনে হবে যেন ওই নয়না ভিরাম পাহাড় আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। হাটতে হাটতে আপনি একসময় পৌছে যাবেন কলাবন চা শ্রমিক বস্তিতে।
প্রায় কিমি. দুর্গম পাহাড়ের গায়ে হামহাম জলপ্রপাত যাওয়ার সহজ রাস্তাটি স্থানীয় লোকেরা আপনাকে বাতলে দেবে। কলাবনপাড়া থেকে রওনা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে জারুল বেত বাগানে দেখা পাবেন বানরের দল। জারুল, চিকরাশি কদম বনায়নের চারাগুলোর সারিবদ্ধ লাগানোর ফাঁকে ফাঁকে হাজারো প্রজাপতি ডানা মিলিয়ে উড়ে যাচ্ছে বহুদূরে। দেখে বেশ ভালো লাগবে আপনার চারদিকে গাছগাছালি প্রাকৃতিক বাঁশবনে ভরপুর আর ডলু, মুলি, মিটিংগা, কালি ইত্যাদি অদ্ভুত নামের বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ বাগানগুলোর গুলোর  সাথে পরিচিত হবেন। পথের কিছু জায়গায় বন কলাগাছগুলো দেখে মনে হবে কে যেন সুন্দর, সুশৃংখল এবং সারিবদ্ধভাবে লাগিয়ে রেখেছে।
ঝিরি পথে হেঁটে যেতে যেতে চোখে পড়বে ডুমুর গাছের শাখায় চশমা বানরের দল। ঝিরিপথ পাথরের ওপর হাঁটতে খুবই কঠিন এবং কষ্টের, মাঝেমধ্যে কোমর পানি আর সিমেন্টের ঢালাই করার মতো দেখতে এবং খুবই পিছলে, তাই ট্রেকিং করার সময় নিজের সুবিধার জন্যসবাইকে একটি করে বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে পাহাড়ী এই পথে খুবই সাবধানে হাঁটতে হবে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা ঝিরি পথে ট্রেকিং করা খুবই কঠিন, ডানে-বামে তাকানো মুশকিল। ঝিরি পথ হাঁটতে হাঁটতে বড় বড় পাথরের খন্ড চোখে পড়ল। সুমধুর পাখির কলরবে মন ভরে যায়। দূর থেকে কানে ভেষে উঠবে বিপন্ন বনমানুষ উল­ুক গিবনসের ডাক। এভাবেই হাটতে হাটতে একসময় আপনি পৌঁছে যাবেন আপনার লক্ষ সেই হামহাম জলপ্রপ তের খুব কাছাকাছি। কিছু দূর থেকে শুনতে পাবেন হামহাম জলপ্রপাতের শব্দ।
কাছে গিয়ে দেখতে পাবেন প্রায় ১৩০ ফিট ওপর হতে জল হামহাম শব্দে জলপ্রপাতের সেই অপূর্ব দৃশ্য সেখানে কিছুক্ষন কাটানোর পর আপনাকে নিতে হবে ফেরার প্রস্ত্তুতি। কারণ বেশীক্ষণ সেখানে অবস্থানের কারনে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে পাহাড়ে ঘন কালো অন্ধকারে রাস্তা হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা শতভাগ। অপরদিকে বন্যপ্রাণীদেও  আক্রমনেরও শিকার হতে পারেন। ঢালু পিচ্ছিল পাহাড়ী পথ বেয়ে উপওে ওঠা কষ্ট হলেও সহজ, কিন্তু পাহাড় হতে নিচে নেমে আসা খুবই বিপজ্জনক কঠিন। তাই ঝিরি পথে এসে সবাইকে কাছাকাছি থেকে ট্রেকিং শুরু করতে হবে। প্রায় সাড়ে চারঘন্টা পর আপনি পৌঁছে যাবেন কলাবনে।
যারা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষ তারা যদি জায়গায় যেতে ইচ্ছা করেন তাহলে তাদের কমলগঞ্জ অথবা শ্রীমঙ্গল শহর হতে যানবাহন ভাড়া করতে হবে ভোর ছয়টার মধ্যে। তাহলে চাম্পারার চা বাগানে কলাবনপাড়ায় পৌঁছতে পারেন সাড়ে সাত বা আটটার মধ্যে। কলাবনপাড়া হতে হামহাম জলপ্রপাতে যেতে-আসতে প্রায় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। যারা ধরনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, মনোরম পরিবেশ, প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়া সুন্দর জায়গায় যেতে চান তারা চলে যেতে পারেন নয়নাভিরাম হামহাম জলপ্রপাতে

 কিভাবে যাওয়া যায়:-


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দন স্থানের মধ্যে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্টের কুরমা বনবিট একটি অরণ্যঘেরা গহিন দুর্গম পাহাড়। এর আয়তন হাজার ৯৭০ একর। কুরমা বনবিটের পাহাড়ের পশ্চিমদিকে চাম্পারায় চা বাগান, পূর্ব-দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত। ঢাকা থেকে প্রায় ২৬০ কিমি. এবং কমলগঞ্জ উপজেলাসদর থেকে প্রায় ৩০কিমি. দক্ষিন-পূর্বদিকে অবস্থিত। কমলগঞ্জ থেকে প্রায় ১ঘন্টার পথ লোকাল বাস,জীপ,লাইটেস কিংবা পাইভেট কার নিয়ে চাম্পারায় চা বাগানে পৌছতে হবে। কুরমা চেকপোষ্ট পর্যন্ত পাকা সড়ক থাকলেও সেখান থেকে চাম্পারায় চা বাগান পর্যন্ত মাটির রাস্তা। সেখান থেকে আবার প্রায় কিমি. দূরে সীমান্ত এলাকায় ত্রিপুরা আদিবাসীদের পল্ল­ বন বিভাগের কুরমা বিটের অরণ্যঘেরা দুর্গম পাহাড়ী এলাকা তৈলংবাড়ী। অবশ্য সিএনজি নিয়ে সেখানে গেলে তৈলংবাড়ী পর্যন্ত অনায়াসে পৌছা যাবে। তৈলংবাড়ীর আদিবাসীদের সাহায্য নিয়ে আপনাকে ট্রেকিং করতে নামতে হবে। কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর শুরুতে আপনার দুচোখের সামনে ভেষে উঠবে পাহাড় থেকে ধোঁয়ার মতো ঘন কুয়াশা ভেসে উঠার অপূর্ব দৃশ্য। মনে হবে যেন ওই নয়নাভিরাম পাহাড় আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

শ্রীমঙ্গলে এক রাত থেকে পরদিন খুব ভোরে উঠে রওনা দিয়ে সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যার পরে শ্রীমঙ্গল ফিরতে পারেন। তবে ওই সময়টায় ফেরার সম্ভাবনা খুব একটা বেশি থাকেনা। সেক্ষেত্রে আদিবাসীদের বাড়িতে থাকা যায়। যদি শ্রীমঙ্গল ফেরা না যায় তবে দুঃচিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা তৈলংবাড়ি বস্তি বা কলাবনপাড়ায় থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

সাবধানতা:-


1.     যাওয়ার আগে অবশ্যই কলাবনপাড়ার স্থানীয়দের কাছ থেকে ভালো-মন্দ জেনে যাওয়া উচিৎ।
2.     সঙ্গে সরিষার তেল আর লবণ রাখতে হবে। কেননা প্রচুর জোঁকের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এই দুটি ব্যবস্থাই কার্যকরী।
3.     হাতে একটা ছোট বাঁশের টুকরা বা লাঠি সঙ্গে নেওয়া ভালো। এতে পাহাড়ি পথে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করা থেকে শুরু করে সাপ বা অন্যান্য বন্যপ্রাণী থেকে নিরাপদ রাখবে।
4.     সঙ্গে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর খাবার স্যালাইন রাখতে ভুলবেন না।
5.     জীবাণুনাশক ক্রিম আর তুলা সঙ্গে নেবেন।
6.     আর খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।

সময় নিয়ে ঘুরে আসুন এই সুন্দর উপভোগ্য জায়গাটি থেকে

আপনার নিরাপদ এবং আনন্দময় ভ্রমণের প্রত্যাশা রইল 

ব্লগটি ভাল লাগলে আপনার সেয়ার করেন   মুল্যবান মতামত দিন

Shylet


No comments

Powered by Blogger.