বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক,গাজীপুর, ২০১৯। গাজীপুর সাফারি পার্কের সময়সূচী, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ভ্রমন, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কবে বন্ধ থাকে, সাফারি পার্ক যাওয়ার উপায়, সাফারি পার্ক কিভাবে যাবো, Bangabandhu Sheikh Mujib Safari Park, Gazipur 2019.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুর
ছুটি কাটাতে
পরিবার
পরিজন
কিংবা
বন্ধু
বান্ধবদের
নিয়ে
কোথাও
ঘুরতে
যাওয়া
বাঙালিদের
অন্যতম
শখ।
তাই এখন
কোনো
ছুটি
পেলে
ঘুরতে
ভালোবাসেন
এমন
লোকেদের
মাথায়
প্রথমেই
আসে
গাজীপুরে
থাকা
রিসোর্ট
অথবা
পার্কগুলো।
গাজীপুরে থাকা
রিসোর্ট
ও
পার্কগুলোর
মধ্যে
বর্তমানে
যেগুলো
বহুল
আলোচিত
তার
মধ্যে
বঙ্গবন্ধু
শেখ
মুজিব
সাফারী
পার্ক
অন্যতম।
অনেকটা দূর
থেকেই
চোখে
পড়বে
বঙ্গবন্ধু
সাফারি
পার্কের
দৃষ্টিনন্দন
ফটক।
সেটি
পেরুলেই
সারি
সারি
ফুল
গাছ,
আপনাকে
স্বাগত
জানাবে
বাঘ,
সিংহ,
বাজপাখি,
ক্যাঙ্গারু।
এমনকি
বহু
আগে
পৃথিবী
থেকে
বিলুপ্ত
ডাইনোসরও
রয়েছে
আপনাকে
স্বাগত
জানানোর
জন্য।
তবে
এগুলো প্রাণহীন, মাটি
বালু
ও
সিমেন্ট
দিয়ে
তৈরি
বিভিন্ন
বন্যপ্রাণীর
ভাস্কর্য।
বিশাল অরণ্যে আপনি বের হয়েছেন প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভের আশায়, হঠাৎ ক্ষুধার্থ কয়েকটি হিংস্র বাঘ বা সিংহ আপনার উপর আছড়ে পড়ল শিকারের আশায়, কিন্তু না পারল না, কাঁচের দেয়াল থাকার কারণে ২ ইঞ্চির জন্য আপনাকে গ্রাস করতে পারল না। আপনি ভয়ে তো অজ্ঞান, এমন সব রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আপনাকে পাইয়ে দেওয়ার জন্যই থাইল্যান্ডের সাফারি ওয়ার্ল্ডের এবং ইন্দোনেশিয়ার বালি সাফারী পার্কের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের গাজীপুরে নির্মিত হয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহত্তম বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর
উপজেলাধীন
মাওনা
ইউনিয়নের
বড়
রাথুরা
মৌজা
ও
সদর
উপজেলার
পীরুজালীইউনিয়নের
পীরুজালী
মৌজার
খন্ড
খন্ড
শাল
বনের
৪৯০৯.০
একর
বন
ভূমি
ছোট
বড়
বিভিন্ন
প্রজাতির
প্রাণির
জন্য
নিরাপদ
আবাসস্থল
হিসাবে
পরিচিত।
এর
মধ্যে
৩৮১০.০
একর
এলাকাকে
সাফারী
পার্কের
মাস্টার
প্ল্যানের
আওতাভূক্ত
করা
হয়েছে।
খোলার সময় :--
বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব
সাফারি
পার্ক
সকাল
৯টা
থেকে
বিকাল
৫টা
পর্যন্ত
খোলা
থাকে।
সাপ্তাহিক ছুটির
দিন
:-
মঙ্গলবার
কিভাবে যাবেন :--
এটি ঢাকা
থেকে
৪০
কিলোমিটার
উত্তরে
ঢাকা
- ময়মনসিংহ
মহাসড়কের
বাঘের
বাজার
থেকে
৩
কিলোমিটার
পশ্চিমে
সাফারী
পার্কটির
অবস্থান।
এর আয়তন ৩৬৯০ একর।
ঢাকার গুলিস্তান
থেকে
প্রভাতি-বনশ্রি
বাস
চৌরাস্তা
যায়। ভাড়া
৭০
টাকা।
এছাড়াও
মহাখালি
থেকেও
এই
বাসে
উঠা
যাবে,
ভাড়া
৬০
টাকা
নিবে।
অথবা
সায়েদাবাদ থেকে
বলাকা,
গুলিস্তান
থেকে
গাজিপুরের
যে
কোন
গাড়ি
ও
যাত্রাবাড়ি,
মালিবাগ,
রামপুরা
থেকে
সালসাবিল
বা
অনাবিল
বা
অন্য
যে
কোন
বাসে
গাজিপুর
চৌরাস্তা
গিয়ে,
তারপর লেগুনা
করেও
যাওয়া
যায়
মাওনা।এই লেগুনা করে বাঘের বাজার নামতে হবে।
চৌরাস্তা থেকে
লেগুনা
ভাড়া
৩০
টাকা।
এছাড়াও কমলাপুর
রেলস্টেশন
থেকে
ট্রেনে
গাজিপুর
নেমে
লেগুনা
করেও
যাওয়া
যাবে
বাঘের
বাজার।
বাঘের
বাজার
থেকে
ইজি
বাইক/
অটো
রিক্সা/
সিএনজি
করে
৩
কিলো
পশ্চিমে
পার্কের
ফটক
পর্যন্ত
যেতে
ভাড়া
নিবে
জনপ্রতি
১০
টাকা।
পারকিং ফি :--
প্রতি বাস/ট্রাক
– ২০০
টাকা
প্রতি মিনিবাস/মাইক্রবাস
– ১০০
টাকা
প্রতি গাড়ি
– ৬০
টাকা
প্রতি রিক্সা
– ২০
টাকা
পার্কে ঢোকা এবং পরিদর্শন খরচ :--
ফী – বড়দের
জন্য
৫০
টাকা,
ছোটদের জন্য
২০
টাকা,
বিদেশীদের জন্য
৪৫০
টাকা,
৪০-১০০
জন
শিক্ষার্থীর
জন্য
৪০০
টাকা
এবং
১০০র বেশি
হলে
৮০০
টাকা।
(আগাম
অনুমুতির
নিতে
হবে।)
এসি বাসে
করে
কোর সাফারি পার্ক – প্রাপ্তবয়স্কদের
জন্য
১০০
টাকা,
ছোটদের
জন্য
৫০
টাকা
(বাসটি
বাঘ
ও
সিংহের
এলাকায়
নিয়ে
যাবে।
সম্পূর্ণ
সুরক্ষার
ব্যবস্থা
আছে।)
এরপর থেকে
প্রতিটি
ডিসপ্লে
এর
জন্য
আলাদা
টিকেট
কাটতে
হবে
যার
মূল্য
১০
থেকে
১০০
টাকার
মধ্যে।
হ্রদে বোটিং ছাড়া বাকি সব গুলো দেখতে
১০ টাকা করে টিকেট লাগে।
সবগুলি দেখার প্যাকেজ ১৬০ টাকা দিয়ে
কেনা যাবে।
যেখানে আলাদা আলাদা সব ঘুরে দেখতে ২৬০
টাকা লাগবে।
এছাড়াও কিছু খন্ড খন্ড প্যাকেজ আছে ১০০ টাকা ও ৫০
টাকার।
থাকা :--
এই পার্কে
সকালে
গিয়ে
বিকেলে
ফিরে
আসা
যায়।
তারপরও
কেউ
চাইলে
পার্কে
থাকতে
পারেন।
রাত্রি
যাপনের
জন্য
পার্কে
বিশ্রামাগার
আছে।
থাকতে
হলে
আগে
থেকে
বুকিং
দিয়ে
যেতে
হবে।
এছাড়া
ঢাকার
বাইরে
থেকে
আসলে
গাজিপুর
চৌরাস্তা
এসে
যেকোন
হোটেলে
থাকতে
পারেন।
খাওয়া :--
পার্কের প্রধান
ফটকের
একটু
আগেই
কয়েকটি
রেস্তোরাঁ
আছে
সেখানে
খাওয়া
দাওয়া
করা
যাবে।
পর্যটন
স্পট
বিধায়
সব
কিছুর
দাম
একটু
বেশি।
এছাড়া
বাঘের
বাজারে
কয়েকটি
রেস্তোরাঁ
আছে
সেখানেও
খাবারের
ব্যবস্থা
আছে।
পার্কের ভিতরে
দুটি
ফুড
কার্ট
আছে
সেখানে
ফাস্ট
ফুড
আইটেম
সহ
কোমল
পানীয়,
চিপস
ইত্যাদি
পাবেন।
এবং
সকালে
গিয়ে
অর্ডার
করলে
দুপুরের
খাবারো
পাবেন।
তবে
ভিতরে
দাম
অনেক
বেশি।
তাই
কিছু
কেনার
আগে
দাম
জিজ্ঞাসা
করুন।
আপনি বণ্যপ্রাণী দেখতে দেখতে ক্ষুধার্ত
আর ক্লান্ত হয়ে গেলে আপনার জন্য আছে টাইগার ও লায়ন রেস্টুরেন্ট। নাম শুনে ভয় পেয়ে গেলেন?
ভাবছেন সেখানে গিয়ে খাবার হয়ে বাঘ সিংহের পেটে যাওয়ার কথা তাই না? না ভয় পাওয়ার কোনো
কারণ নেই, বাঘ ও সিংহ আপনাকে খাবে না। আপনি খাবার খাবেন আর বাঘ ও সিংহ আপনাকে পাহারা
দেবে, মাঝখানে থাকবে কাঁচের দেয়াল।
বাঘ পর্যবেক্ষণ
রেস্তোরা
ও
সিংহ পর্যবেক্ষন
রেস্তোরা।
সেখানেও খাওয়া
দাওয়া
করতে
পারেন
পাশাপাশি
রেস্তোরাঁ
বসেই
বাঘ,
সিংহ
পর্যবেক্ষন
করতে
পারবেন।
দর্শনীয় স্থান
সাফারি পার্কে আছে
·
জলহস্তী,
·
বাঘ,
·
সিংহ,
·
হাতি,
·
সাম্বার,
·
মায়া হরিণ,
·
চিত্রা হরিণ,
·
বানর,
·
হনুমান,
·
ভল্লুক,
·
গয়াল,
·
কুমির ও
বিচিত্র
পাখী।
·
এই পার্ক
জুড়ে
রয়েছে
নানা
দর্শনীয়
পশু-পাখি
ও
ভাঙ্কর্য।
·
পার্কের প্রথমে
ঢুকেই
হাতের
ডানে
পুরো
পার্কের
মানচিত্র
পাওয়া
যাবে।
·
আকাশ থেকে
পুরো
পার্কের
নয়নজুড়ানো
দৃশ্য
দেখার
জন্য
আছে
কয়েকটি
ওয়াচ
টাওয়ার।
·
এছাড়াও আছে
ঝুলন্ত
ব্রিজ
ও
হাতির
উপড়ে
চড়ার
সুযোগ।
·
তবে পার্কের
বেশিরভাগ
দর্শনীয়
জিনিষগুলো
টিকেটের
বিনিময়ে
দেখতে
হবে।
এই পার্কটি পাঁচটি অংশে বিভক্ত:
বঙ্গবন্ধু চত্বর
কোর সাফারি:
সাফারি
পার্কের
মূল
আকর্ষণ
এই
কোর
সাফারি।
যেখানে
জনপ্রতি
১০০
টাকা
টিকেটের
বিনিময়ে
বাসে
করে
ঘুরে
বেড়াবেন
জঙ্গলে।
আর
বাঘ,
ভাল্লুক,
সিং,
হরিন,
জিরাফ,
জেব্রা
সহ
বিভিন্ন
প্রানি
দেখবেন
উন্মুক্ত।
আপনার
গাড়ির
কাছে
এসে
তারা
খেলা
করছে।
সাফারি কিংডম:
এর আওতায়
রয়েছে
বাকি
অন্যন্য
আকর্ষনিয়
সব
কিছু।
যেমন Ø
প্রকৃতি বিক্ষন
কেন্দ্র
Ø
প্যারট এভিয়ারি
Ø
ক্রাউন ফিজেন্ট
এভিয়ারি
Ø
ম্যাকাউ ল্যান্ড
Ø
ছোট পাখিশালা
Ø
ফেন্সি ডাক
গার্ডেন
Ø
কুমির পার্ক
Ø
প্রজাপ্রতি বাগান
Ø
ইমু/অস্ট্রিচ
গার্ডেন
Ø
কচ্ছপ ও
কাছিম
প্রজনন
কেন্দ্র
Ø
লিজার্ড পার্ক
Ø
ভালচার হাউজ
Ø
হাতি শালা
Ø
মেরিন একুরিয়াম
Ø
অর্কিড হাউজ
Ø
পেলিকন আইল্যন্ড
Ø
ঝুলন্ত ব্রিজ
Ø
এগ ওয়ার্ল্ড
Ø
ধনেশ এভিয়ারি
Ø
প্রাইমেট হাউজ
Ø
লেক জোন
Ø
বোটিং লেক
Ø
লামচিতার ঘর
Ø
ক্যঙ্গারু এভিয়ারি
Ø
প্রাকৃতিক ইতিহাসের
জাদুঘর
Ø
শিশু পার্ক
Ø
জীব বৈচিত্র্য
পার্ক
Ø
বিস্তৃত এশীয়
পার্ক
কোর সাফারী পার্ক :-
কোর সাফারী
পার্ক
কোর
সাফারী
পার্কে
সাফারী
গাড়ী
ব্যতীত
কোন
পর্যটক
প্রবেশ
করতে
পারবেন
না
তবে
তিনি
বন্যপ্রাণী
বেষ্টনীতে
মুক্ত
অবস্থায়
প্রাকৃতিক
পরিবেশে
বিচরণরত
বন্যপ্রাণী
সমূহ
গাড়ীতে
চড়ে
অবলোকন
করতে
পারবেন।
কোর সাফারী
পার্ক
১৩৩৫
একর
এলাকা
নিয়ে
প্রতিষ্ঠা
করা
–
যার মধ্যে
২০.০
একরে
বাঘ,
২১.০
একরে
সিংহ,
৮.৫০ একরে
কালো
ভালুক,
৮.০ একরে
আফ্রিকান
চিতা,
৮১.৫০
একর
চিত্রা
হরিণ,
৮০.০
একরে
সাম্বাব
ও
গয়াল,
১০৫.০
একরে
হাতী,
৩৫.০
একরে
জলহস্তী,
২২.০
একরে
মায়া
ও
প্যারা
হরিণ,
২৫.০
একরে
নীলগাই
এবং
বারো
সিংগা,
১১৪.০
একরে
ঙৎুী
এধুবষষব,
ঝধনষব
এবং
ইষধপশ
ইঁপশ
সহ
পাখীদ্বীপ,
৪০৭.০
একরে
বন্য
মহিষ,
ডধঃবৎ
ইঁভভধষড়,
ডধঃবৎ
ইঁপশ
এবং
ওহফরধহ
ইরংড়হ
থাকবে
এবং আফ্রিকান
সাফারী
পার্কের
জন্য
বরাদ্দ
২৯০.০
একর
এলাকাকে
সুবিন্যাস্থ
করা
হবে।
সাফারী কিংডম :-
সাফারী কিংডমে
পর্যটকগণ
পায়ে
হেঁটে
ঘুরে
বেড়াতে
পারবে
এবং
প্রাণিকূলকে
ছোট-খাট
বেস্টনীর
মধ্যে
আবদ্ধ
রাখা
হবে।
সাফারী
কিংডমের
মূল
লক্ষ্য
হচ্ছে:
বিভিন্ন
বন্যপ্রাণীর
নৈপূণ্য
ও
খেলাধুলা
প্রদশর্ণের
মাধ্যমে
পর্যটকদের
চিত্তবিনোদন,
বন্যপ্রাণী
সংক্রান্ত
শিক্ষা
ও
গবেষণার
সুযোগ
সৃষ্টি
করা।
সাফারী
কিংডম
৫৭৫.০
একর
এলাকা
নিয়ে
প্রতিষ্ঠা
করা
হবে।
এর
প্রধান
কার্যক্রমের
মধ্যে
রয়েছে
প্রকৃতিবীক্ষণ
কেন্দ্র,
জিরাফ
ফিডিং
স্পট,
পেলিকেন
আয়ল্যান্ড,
বোটিং
ও
লেকজোন;
বৃহৎ
আকারের
গাছপালা
ঘেরা
ক্রাউন্ট
ফিজেন্ট
এভিয়ারী,
ধনেশ
এভিয়ারী,
প্যারট
এভিয়ারীসহ
দেশি-বিদেশী
পাখির
পাখীশালা
(আরধৎু),
কুমির
পার্ক,
অর্কিড
হাউজ,
প্রজাপতি
কর্ণার,
শকুন
ও
পেঁচা
কর্ণার,
এগ
ওয়ার্ল্ড,
কচ্ছপ-কাছিম
ব্রিডিং
সেন্টার,
লামচিতা
হাউজ,
ক্যাঙ্গারু
বাগান,
হাতী-শো
গ্যালারী,
ময়ুর/মেকাউ
ওপেন
ল্যান্ড,
সর্প
পার্ক,
ফেন্সি
কার্প
গার্ডেন,
ফেন্সি
ডার্ক
গার্ডেন,
লিজার্ড
পার্ক,
ফুডকোটর্
, পর্যবেক্ষন
টাওয়ার
ও
জলাধার
ইত্যাদি।
বায়োডাইভারসিটি পার্ক :-
এই পার্ক
প্রতিষ্ঠার
মূল
লক্ষ্য
হচ্ছে
বিরল,
বিলুপ্তপ্রায়,
দূলর্ভ
ও
বিপন্ন
প্রজাতির
গাছের
জীন-পুল
সংরক্ষণ
(এবহব
চড়ড়ষ
ঈড়হংবৎাধঃরড়হ)
করা।
এছাড়া
এ
পার্কে
শালবন
এবং
জীব-বৈচিত্র্য
সংরক্ষণের
নিমিত্তে
উপযোগী
বিভিন্ন
প্রজাতির
বৃক্ষরোপণ
করা
হবে।
এ
পার্কটিকে
জাতীয়
উদ্ভিদ
উদ্যান
ও
বলদা
গার্ডেনের
র্যাপলিকা
হিসাবে
স্থাপন
করা
হবে।
বায়োডাইভারসিটি
পার্কের
এলাকা
নিধারণ
করা
হয়েছে
৯৬৫.০
একর।
এক্সটেনসিভ এশিয়ান সাফারী পার্ক :-
সাফারি পার্কে
বিচরণরত
বন্য
পশুপাখির
পানীয়
জলের
চাহিদা
পূরণ
করার
জন্য
আছে
আটটি
জলধারা
ও
দুটি
কৃত্রিম
হ্রদ।
যেখানে
বিভিন্ন
জাতের
দেশি
বিদেশি
বুনো
হাঁসের
ওড়াউড়িসহ
নানা
রকম
জলকেলি
আপনার
মন
ভরিয়ে
দিবে।
আপনি যদি
সাহসী
হয়ে
থাকেন
আর
ভয়
না
পান
তাহলে
চলে
আসেন
স্নেক
পার্কে-
এখানে
আপনি
হরেক
রকম
ও
বর্ণের
সাপ
দেখতে
পাবেন।
এ
ছাড়া
আপনাকে
আনন্দিত
করবার
জন্য
সাফারি
পার্কে
আছে
বাটারফ্লাই
পার্ক
যেখানে
প্রতিনিয়ত
হয়
রঙের
উড়াউড়ির
খেলা।
আছে
ক্রোকোডাইল
ও
লিজার্ড
পার্ক।
শালবনের বন্যপ্রাণী
ও
উদ্ভিদ
বৈচিত্র্য
সংরক্ষণ,
বাংলাদেশের
বিরল
ও
বিলুপ্তপ্রায়
বন্যপ্রাণীর
সংরক্ষণ
ও
উন্নয়ন
সাধন,
রাজধানীর
অতি
নিকটে
ইকো-ট্যুরিজমের
সুযোগ
সৃষ্টির
মাধ্যমে
পর্যটন
শিল্পের
বিকাশ,
দারিদ্র্যবিমোচন
ও
কর্মসংস্থানের
সুযোগ
সৃষ্টি
করাসহ
সারাদেশে
বন্যপ্রাণী
সংরক্ষণে
ব্যাপক
গণসচেতনতা
সৃষ্টিই
মূলত
এই
সাফারি
পার্কের
মূল
উদ্দেশ্য।
ঘুরাঘুরি :--
Parot Aviary
থেকে ১০০ টাকা দিয়ে টিকেট নিবেন। এই টিকেট
দিয়ে আপনি Parot Aviary, Marine aquarium, Carp Garden, Crown Pheasant, Hornbill Aviary n Boat Riding
(15 min) এ যেতে পারবেন। প্রথমে Parot
Aviary তে যেয়ে দেখবেন তারপর বের হয়ে Macaw Garden এ যেয়ে ৪০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটবেন আর এটা দিয়ে আপনি Macaw
Garden, Butterfly Garden n Nature Histry
Museam এ যেতে পারবেন। প্রথমে Parot
Aviary (ছবি অবশ্যই তুলবেন তবে ওদের ধরবেননা
আর যে লোকটা থাকে তাকে নাম জিজ্ঞেস করতে পারেন তবে সে নাম জানেনা কিন্তু ছোট একটা পিচচি থাকে ও সব
জানে)
তারপর Macaw
Garden (এখানে যেয়ে Macaw হাতে নিয়ে ছবি তুলবেন
অবশ্যই আর ছবি তুলতে ওইখানের লোকের সাহায্য
নিবেন। আর হ্যাঁ Macaw এর নখের আঁচর আর ঠোকর থেকে সাবধান) তারপর Marine aquarium (এখানে সাধারন সব মাছ তবে
aquarium এর বাইরে ছবি তুলতে পারেন) তারপর
Butterfly Garden (এইখানে কিছুই নাই শুধু দুইটা প্রজাপতি দেখেছি) তারপর বের হয়ে ডিমের ঘর (এখানে যেয়ে মুরগী
হাঁস সহ অনেক ডিম দেখবেন) । ডিম ঘর থেকে বের
হয়ে হাতের বামে হাতি আর ডান পাশে রাস্তা দেখবেন।
হাতির দিকে অবশ্যই
যাবেন না। ডানের রাস্তা ধরে যাবেন আর এর পথেই পাবেন কুমিরের বাচচা সহ অনেক প্রকারের সাপ পাখি। এখানে
Carp Garden পাবেন (ভিতরে ঢুকে খাবার খাওয়াবেন)
তারপর হেটে হেটে সামনে যাবেন কিছুটা গেলে সামনে
খাবারের দোকান পাবেন। দোকানের বাম পাশ দিয়ে গেলে অনেক পাখি সাপ বানর আর ঝুলন্ত ব্রিজ পাবেন (ব্রিজ দেখে আমি হাসতে হাসতে
শেষ) তারপর শকুন দেখে সামনে যেয়ে অন্য সব দেখবেন
সাথে ক্যাঙ্গারুর বাচ্চা ফ্রি দেখতে পাবেন।সবার
শেষে নৌকায় উঠবেন (নৌকায় উঠে নির্ঘাত গালি দিবেন)। নৌকা থেকে নেমে জলহস্তি দেখে ডান দিকে হেটে আসবেন।আসলেই হাতি পাবেন। চাইলে
হাতিতে উঠতে পারেন। ৩০ টাকা নিবে। তারপর বের
হয়ে Nature Histry Museum এ যাবেন। যেখানে আপনি ভুল নাম আর ভুল তথ্যের ভাণ্ডার দেখবেন। এখান থেকে বের
হয়ে বাঘ ও সিংহ পর্যবেক্ষণ রেস্তোরাতে যেতে
পারেন। তারপর বের হয়ে ঢাকার পথে আসবেন।
আসার রাস্তাও যাওয়ার রাস্তার মতই।
বিঃ দ্রঃ
অবশ্যই মনে রাখবেন
১। বাঘ সিংহ দেখতে চাইলে অবশ্যই সকাল ১০ টার মাঝে যাবেন। কারন দুপুর ১২ টার পর যারাই গেছে কেউ বাঘ বা সিংহ দেখতে পারেনি।
২। সাথে পর্যাপ্ত পানি রাখবেন।
৩। প্রচুর হাঁটা লাগবে আর এটা মাথায় রাখবেন।
৪।
যেকোনো
ময়লা
ডাস্টবিনে
ফেলতে
হবে।
৫। শব্দ
করা
যাবেনা।
৬। কোন
প্রাণীকে
খাবার
দেয়া
যাবেনা।
৭। কোন
প্রাণীকে
বিরক্ত
করা
যাবেনা।
৮। রেস্ট
হাউস
ব্যবহার
করার
পূর্বে
অনুমুতি
নিতে
হবে।
৯। শৃঙ্খলার
সাথে
যানবাহন
পার্ক
করতে
হবে।
প্রয়োজনীয় যোগাযোগের নম্বর
বন সংরক্ষক: ০২-৮১৮১১৪২
ফরেস্ট রেঞ্জার অফিসার: ০১৮৩৭-১৯৯১৪৪
ওয়া্ইল্ড লা্ইফ রেঞ্জার: ০১৭১৬২৮১১২৯
সাফারী কিংডম: ০১৭০-৮৯০৯৩০২
সিংহ পর্যবেক্ষণ রেস্তোরা: ০১৯১৯-৬৯৮৯৩৬
বাঘ পর্যবেক্ষণ রেস্তোরা: ০১৭১১১-৮০০২৯
খাদ্য কোর্ট: ০১৭১১৫৮৫৩৪১
সময় নিয়ে ঘুরে আসুন না এই সুন্দর ও উপভোগ্য জায়গাটি থেকে। শিশুদের সঙ্গে বড়দেরও ভালো লাগবে এই আয়োজন।
ব্লগটি ভাল লাগলে আপনারা সেয়ার করেন ও মুল্যবান মতামত দিন।
Post a Comment